প্রকাশিত: ৩১/০৩/২০১৮ ৬:৫৬ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৪:৪৬ এএম

শামীম ইকবাল চৌধুরী,নাইক্ষ্যংছড়ি:
নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের সাতগইজ্জাপাড়া এলাকায় অস্ত্রধারী ডাকাতের ভয়ে পালিয়ে আসা চাক্ সম্প্রদায়ের চার পরিবারকে নিজ অর্থায়নে নতুন ঘর তৈরী করে দিলেন পার্বত্য বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি।
গত ৩১ মার্চ (শনিবার) সকাল বেলা পার্বত্য বিষয়ক প্রতিমন্ত্রি বীর বাহাদুরএমপি,র পক্ষ হয়ে সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তসলিম ইকবাল চৌধুরী উপ¯ি’ত হয়ে অসহায় চাক্ পরিবার গুলোকে নিরাপদে বসবাস করার জন্য চার পরিবারকে নতুন জমিতে নতুন ঘর আনুষ্টানিক ভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। নতুন ঘর প্রাপ্তিরা হলেন,চাইথোয়াই চাক্, ছাহ্লা থোয়াই চাক্, ক্যহ্লা চিং চাক্, মং মং চাক্ ।এসব হ¯’ান্তর অনুষ্টানে উপ¯ি’ত ছিলেন, নাইক্ষ্যংছড়ি প্রেসক্লাবের সভাপতি শামীম ইকবাল চৌধুরী, চাক্ সম্প্রদায়ের নেতা নাইদ অং চাক্, যুবনেতা বাচিং চাক্ , উপজেলা যুবলীগ সহ-সভাপতি ক্যানু ওয়ান চাক্,প্রেসক্লাব সহ-সভাপতি সাংবাদিক আব্দুল হামিদ, যুগ্ন-সম্পাদিক জাহাঙ্গীর আলম কাজল,অর্থ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিনসহ ¯’ানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপ¯ি’ত ছিলেন।
আর এদিকে মংমং চাক্ প্রতিবেদককে জানান,এই সাতগইজ্জা পাড়ায় উপজাতি ও বাঙালি মিলে বসতি ছিল মাত্র সাত পরিবার। ফলে নামকরণ হয়েছিল সাতগইজ্জা পাড়া। দীর্ঘ ১৫-২০ বছর ধরে সম্প্রীতির বন্ধনে বসবাস করে আসছিল পরিবারগুলো। তবে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি রাতে সাতগইজ্জা পাড়ায় ১০/১৫ জনের অস্ত্রধারী যুবকদল দেখে এরা আতঙ্কিত হয়ে তিন কিলোমিটার দূরে মধ্যম চাক্ পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিতাক্ত দুইটি ভবনে অব¯’ান নেয়। প্রায় দেড় মাস পর পার্বত্য বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুরএমপি আমাদেরকে নতুন জমিতে নতুন ঘর তৈরী করে দিয়ে আমরা এখন আতঙ্ক থেকে প্রায় মুক্ত হয়েছি। আমরা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত যার যার কাজ কর্ম সেড়ে নতুন ঘরে এসে রাত যাপন করতে আমাদের আর কোন ভয় হবে না।
চেয়ারম্যান তসলিম ইকবাল চৌধুরী জানান, আতঙ্কে পালিয়ে আসা পরিবার গুলোর ব্যাপারে আমরা সার্বক্ষণিক খবরাখবর নিয়েছিলাম তার পাশাপাশি পার্বত্য বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি মোবাইলে আমাকে প্রতিনিয়ত খবরা খবর নেয়। এই অসহায় পরিবারগুলোকে বীর বাহাদুরএমপি,র নিজ অর্থায়নে নিরাপদে চার পরিবারকে নতুন জায়গায় নতুন ঘর তৈরী করে আশ্রয়ের ব্যব¯’া করে দেওয়া হয়েছে। এর পরও ভাল-মন্দ খুঁজ খবর নেওয়ার জন্য আমাকে দায়িত্ব দেন মন্ত্রী মহোদয়।
উল্লেখ্য,গত ১৫ ফেব্রুয়ারি রাতে নাইক্ষ্যংছড়ি সোনাইছড়ি সড়কে কিছু অস্ত্রধারী যুবক পথযাত্রীদের জিম্মি করে টাকা, মোবাইলসহ অন্যান্য জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয়। এ সময় অস্ত্রধারীর কবলে পড়েন সোনাইছড়ির ইউপি চেয়ারম্যান বাহাইন মারমাসহ ব্যবসায়ী ও গাড়িতে অব¯’ানরত যাত্রী এবং চালকেরা। ওইসময় ঘটনার বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে তাৎক্ষণিক পুলিশ বিজিবি অভিযান চালালে ওই অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে পালিয়ে যায়। পরদিন ১৬ ফেব্রুয়ারি ভোর সকালে খবর পায় সদরের সাতগইজ্জা পাড়ায় ওই অস্ত্রধারীরা আনাগোনা করাতে বসবাসরত চার পরিবার ভয়ে পালিয়ে আসে। সেখানেও তাৎক্ষণিক পুলিশ অভিযান চালালে সেখান থেকেও গা ডাকা দেয় তারা।

পাঠকের মতামত

উখিয়াবাসীর স্বপ্ন পূরণ করতে চাই – জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীর বিবৃতি

গণমাধ্যমে প্রকাশিত একটি সংবাদের প্রেক্ষাপটে নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে বিবৃতি দিয়েছেন উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ...